ইসরাইলি বিমান বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা সাফিরা এখন বর্তমান টপ অফ দ্যা ওয়াল্ড হয়ে গেছে। ইসরাইল সরকারের সাবেক একজন গুরুত্বপূর্ণ বিমান বাহিনীর সদস্য হওয়ার পরেও সরাসরি ইসরাইলের সরকার সেনাবাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলেই অভিহিত করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন যুদ্ধাপরাধীদের নির্দেশনায় সরকার ও সেনাবাহিনী পরিচালিত হচ্ছে। 2003 সালে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন ক্যাপ্টেন সাফিরা। তিনি বলেন ইসরায়েলী সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর বুঝতে পারলাম আমিও সন্ত্রাসী সংগঠনের অংশ।
তিনি বলেন ইজরায়েলের একজন শিশু তার শেশব থেকে কঠোর জায়নবাদী সামরিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠছে। একজন ইসরায়েলে জন্ম নিয়ে যা শিখছে তা শুধু এই জগতেরই সকল শিক্ষা। এর বাইরে যে জগত রয়েছে এবং সেখানে যে মানুষের বসবাস এবং তাদেরও যে মানব অধিকার আছে সে বিষয়ে অন্ধ করে তোলা হয়। ইসরাইলের স্বার্থকে অন্ধভাবে সামনে রেখে একটি কট্টরপন্থী শিক্ষাব্যবস্থা চালু রয়েছে সেখানে। অথচ সে শিশু জানেনা ফিলিস্তিন কি ১৯৪৮ সালের নাগমা নিয়ে ধারণা নেই। সে জানেনা ফিলিস্তিনিরা কিভাবে নিপীড়িত হচ্ছে এবং সে শিশুকে জানানোও হচ্ছে না। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এই গোপন তথ্যগুলো প্রকাশ করে দিয়েছিলেন জোনাথ জেনিফার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ছাড়ার পর সাফিযা একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেন। যা ফিলিস্তিনে হামলার নির্দেশ অমান্য করতে সেনা সদস্যকে উৎসাহিত করেছিল।
শুধু তাই নয় জোনাথ জেনিফার অনুসরণ করার জন্য এবং তার ক্যাম্পেইনের অনুসারী হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর ছাড়ার পর সাতক্ষীরায় চিকেন ইনসুলিনে হামলার নির্দেশ অমান্য করতে সেনাসদস্যদের কে উৎসাহিত করেছেন শুধু তাই অনুভব করার জন্য এবং তার ক্যাম্পেইনের অনুসারী হওয়ার জন্য 2003 থেকে আজ পর্যন্ত 27 জন পাইলটকে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জোনাথ জেনিফারের এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সফলতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জেরুজালেমে প্রবল বিক্ষোভ শরু হয়েছে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে । তার বাসভবনের বাহিরে বিক্ষোভকারীরা শনিবার রাতে সমবেত হন ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ ও দা পিঙ্ক ফ্রন্ট সহ বিভিন্ন সংগঠনও বিক্ষোভ এর আয়েজন করে।
নেতানিয়াহুও বুঝতে পারছেন না তার দেশের ভিতরের সকল মানুষ কি আজ তার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে? ইয়াহুদীরা কি তাহলে আর ফিলিস্তিনের সাথে যুদ্ধ চায় না? আয়োজকরা সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলে আরব ইসরাইলি মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করেছেন সরাসরি। তারা বলেন ভাগ মানুষ নেতানিয়াহুকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান না। এমনকি দেশের 70 ভাগ মানুষ এখন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। আন্দোলনে নেতারা এ সময় ইসরাইলের রাজনৈতিক নেতাদের আহ্বান জানান তারা যেন একটি ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠন করে। যা দেশটিকে শান্তির পথে নিয়ে যাবে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সংঘাত সহিংসতা পরিহার করতে সাহায্য করবে। তারা উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন অল্প কিছুদিনের মধ্যে নেতানিয়াহুর বিপদজনক নেতৃত্ব থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করা হবে।