০১-০৩-২০১৫ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আ.লীগের মিঠিং বিরোধী বক্তব্য যা কোন সমাধানে খুজে না । শহরের রাস্তার আশে পাশে ব্যানারে খালেদা ও বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের হাতে মুখে আগুন আর এক হাতে চেয়ারের দৃশ্য দেখা যায়। ব্যানার গুলোতে বুঝিয়েছে জনগনকে হত্যা করে ক্ষমতায় যাওয়াই বিএনপির লক্ষ্য । অন্যদিকে ০১ থেকে ০২-০৩-২০১৫ইং দুইদিনে প্রায় ঢাকার অধিকাংশ জায়গা ঘুরে দেখি বিরোধী দলের হরতালে রাস্তার পাশে আগুনে পুড়া গাড়ি এবং সন্ধ্যা সময় আমাদের সামনের একটা প্রাইভেট গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে ভয়ে তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমেপরি ।
আজ দুইটি দলের হিসাব মেলানোর চেষ্টা করছি কখনও কি তাদের রাজনৈতিক হিসাব মিলানো যাবে ? চারদিকে আজ লাশের মিছিল, মা-বাবা ভাই বোনের কান্না । ফুর্তিতে বিএনপি- আ.লীগ । কারাগরে সাধারণ জনতার ঢেউ মাস খানেক আগে কারাগারে গিয়েছি ঠাই নাই কারাগর গুলোতে । জনগনের মুখের ভাষা দুমুঠু ভাতের জন্যে রাস্তা অফিস মুখি হই তাই বলে আমাদের নিরাপত্তা বলতে কিছু থাকবে না ? জীবিকার জন্য ঘরে মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান দুকে দুকে মরছে তাদের খাওয়ারে জন্যে বাহির হলে হয়তো বোমায় জ্বলছে যেতে হয়। না হয় পুলিশি কারাগারে । আজ মনবতার নিরাপত্তা কোথাই ? নিষ্টুর হায়নাদের প্রতিহিংসার রাজনীতির শেষ কোথাই ?
দুই দলের উক্তি :
বিএনপির অভিমত: লুটে খাচ্ছে দেশ, বিদেশের হাতে দিয়ে দিচ্ছে দেশ, গুম-খুনের রাজনীতিতে পরিনত হয়েছে দেশ, সবস্তরে দুর্নীতিতে সরকার , অবৈধ ক্ষমতা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে বসে আছে এই ফ্যাসিবাদী সরকার । দেশের মানুষ নিরাপদে নাই তাদের কে প্রতিহত করুন ।
আওয়ামুলীগের উক্তি :
সংবিদান মতে আমরা সরকার, আর বিএনপি লাশে পরিনত করছে দেশকে । মানুষ হত্যা করে তারা ক্ষমতায় আসতে চায়, দেশদ্রোহী দল বিএনপি, অর্থনৈতিক অবস্থা স্বচল, ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিনত হবে । এসব দেখে বিএনপি লোভ সামলিয়ে রাখতে পারছে না সুতরাং দেশদ্রোহীদের প্রতিহত করুন ।
এই দুটি উক্তিতে কি কোন সংলাপের চিহ্ন পাওয়া যায় ? তাহলে কি আমরা সাধারণ মানুষ দুই দলের পায়ের নিচের জুতাও না ? আপনারা জনগনের টাকা জমা রেখে তা থেকে আস্তে আস্তে খাচ্ছেন আর জনগনের উপর লাশ চাপিয়ে দিচ্ছেন । তাছাড়া জেল হাজাত থেকে কাউকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতে হলে গুনতে হয় লক্ষ টাকা । এটাই কি আপনাদের রাজনীতি ? হায়রে মাটির পুড়া মানুষ কবে ১৯৫২-৭১ সালের বিবেক তাদের ডাক দিবে ?
হাজারো শহীদের রক্ত কি আজ বীথা যাবে ? শহীদের অর্জিত এই মাতৃভূমি ধ্বংসে পরিনত করা হচ্ছে । শহীদের এই অর্জিত সম্পদ কি রক্ষা করার মত কেউ নাই বা কেউ জন্ম নিবে না ?