Home ইসলাম সুরা ফাতেহার ফজিলত

সুরা ফাতেহার ফজিলত

by Jafor Salah
0 comment

ক) হযরত বগভীর রহ. নিজেস্ব সনদে বর্ণিত এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসাল্লাম বলেছেন মহান আল্লাহতায়ালা বলেন যে, ব্যক্তি প্রত্যেক নামাযের পর সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা আল-ইমরানের শাহিদাল্লাহু আয়াত শেষ পর্যন্ত এবং কুলিল্লাহুম্মা আয়াত বিগাইরি হিসাব পর্যন্ত পাঠ করে আমি তার ঠিকানা জান্নাতে দিবো, তাকে আমার নিকট স্থান দিবো, দৈনিক সত্তরটি প্রয়োজন মিটাবো, শক্রর কবল থেকে আশ্রয় দিবো এবং শক্রর বিরুদ্ধে তাকে জয়ী করবো। (তাফসীরে মা’আরেফূল ক্বোরআন- অনুবাদ দ্বিতীয় খন্ড পৃষ্ঠা-৪৫)

খ) তাবেয়ী হযরত আবদুল মালেক রহ. ইবনে উমায়ের মুরসালরূপে বর্ণনা করেন যে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সূরা ফাতেহায় (শারীরিক ও মানসিক) সব রোগের আরোগ্য রয়েছে। (আদ-দায়েমী ও সুনানে বায়হাকী)

গ) হযরত আবু সাইদ রাফে’ ইবনে মুআল্লা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “মসজিদ থেকে বের হবার পূর্বেই তোমাকে কি কুরআনের সব চেয়ে বড় (মাহাত্ম্যপূর্ণ) সূরা শিখিয়ে দেব না?” এই সাথে তিনি আমার হাত ধরলেন। অতঃপর যখন আমরা বাহিরে যাওয়ার ইচ্ছা করলাম, তখন আমি নিবেদন করলাম, “ইয়া রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ! আপনি যে আমাকে বললেন তোমাকে অবশ্যই কুরআনের সব চেয়ে বড় (মাহাত্ম্যপূর্ণ) সূরা শিখিয়ে দেব?’ সুতরাং তিনি বললেন, “(তা হচ্ছে) ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’ (সূরা ফাতেহা)। এটি হচ্ছে ‘সাবউ মাসানি (অর্থাৎ নামাযে বারংবার পঠিতব্য সপ্ত আয়াত) এবং মহা কুরআন; যা আমাকে দান করা হয়েছে”। (সহীর আল বুখারি)

ঘ) সাহাবী হযরত আবু সাইদ ইবনে মুআল্লা বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন :“আমি তোমাকে কুরআনের একটি সুমহান সূরা শিখাব। সেটা হলো সূরা আল ফাতেহা। যার প্রথমাংশ আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। এটা সাবউল মাসানী বা সাতটি প্রশংসাযুক্ত আয়াত এবং এক মহান কুরআন যা আমাকে দান করা হয়েছে।” (সহীহ বুখারী) সম্ভবত এ সব ফযীলতের কারণে সূরা ফাতেহার সালাতের মধ্যে পাঠ করা ওয়াজিব।

ঙ) হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “যে ব্যক্তি সালাত আদায় করল, কিন্তু সূরা ফাতেহা পাঠ করল না, তার সালাত ক্রটিপূর্ণ। তিনি কথাটি তিনবার বলেছেন।” তখন হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু কে জিজ্ঞাসা করা হল, আমরা তো ইমামের পিছনে থাকি ? তিনি বললেন, মনে মনে পড়বে।”

চ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত : হযরত জিব্রীল আলাইহিস সালম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থাকা অবস্থায় বলেন, দেখুন, এটা আকাশের একটি দরজা যা এই মাত্র খোলা হল। ইতিপূর্বে কখনো তা খোলা হয়নি। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর ঐ দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা রাসূলের নিকট এসে বললেন, আপনি দু’টি নূরের সুসংবাদ গ্রহণ করুন, যা আপনার পূর্বে কোন নবীকে দেয়া হয়নি। সেটা হল, সূরা ফাতেহা ও সূরা বাকারার শেষ আয়াতগুলোর সুসংবাদ। আপনি এ দু’টো তিলাওয়াত করে যে কোন হরফ দ্বারা যা চাইবেন, তা আপনাকে দেয়া হবে।

Benefit of surah fatiha

You may also like