Home ইসলাম সময়মতো নামায পড়ার ফযীলত

সময়মতো নামায পড়ার ফযীলত

by admin
0 comment

সময়মতো নামায পড়ার ফযীলত

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী

 

১. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন : আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করলাম : কোন কাজটি সবচেয়ে ভাল? তিনি জবাব দিলেন : যথাসময়ে নামাযপড়া। জিজ্ঞেস করলাম : তারপর কোন কাজটি সবচেয়ে ভাল? তিনি জাবাব দিলেন : পিতামাতার সাথেভাল ব্যবহার করা। জিজ্ঞেস করলাম : তারপর কোনটি? জবাব দিলেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা।

২.হযরত আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলে খোদা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহতায়ালা বলেন: আমি তোমার উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছি এবং আমি নিজের নিকট অঙ্গীকার করেছি, যে ব্যক্তি সময়ানুবর্তিতার সাথে নামায সমূহের পূর্ণ হিফাযতকারী হিসাবে আমার কাছে আসবে, আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো। আর যে নামায সমূহের হিফাযত করবেনা তার জন্য আমার নিকট কোন অঙ্গীকার নেই।

৩.হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললো : হে রাসূল! ইসলামের কোন কাজ আল্লাহর নিকট বেশি প্রিয়? রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : যথাসময়ে নামায পড়া। যে ব্যক্তি নামায ছেড়ে দিল তার ধর্ম নেই। নামায ইসলামের খুঁটি। (বায়হাকী)

৪.হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন আততায়ীর আঘাতে আহত হলেন, তখন তাঁকে জানানো হলো যে, হে আমীরুল মুমিনীন! নামাযের সময় উপস্থিত। তিনি বললেন: হ্যাঁ, আমি নামায পড়বো। নামায যে ছেড়ে দেয় ইসলামের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। অতঃপর তিনি নামায পড়লেন, তখনো তাঁর ক্ষতস্থান থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল।

 

You may also like