ফযর ও এশার জামায়াতে হাযির হওয়া
মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী
১.হযরত উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি এশার নামায জামায়াতের সাথে পড়ল সে যেন অর্ধরাত অবধি নামায পড়ল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামায়াতের সাথে পড়ল সে যেন সারা রাত নামায পড়ল।
২.হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যদি তারা এশা ও ফজরের নামাযের মধ্যে কি আছে তা জানতে পারত তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এই দুটি নামাযের (জামায়াতে) শামিল হত।
৩.হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: এশার ও ফজরের নামাযের মত আর কোন নামায মুনাফিকদের কাছে বেশী ভারী বোঝাা বলে মনে হয়না। তবে যদি তারা জানত এই দুই নামাযের মধ্যে কি আছে তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এই দুই নামাযে শামিল হত।
৪.জামায়াতে নামায পড়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত এশা ও ফজরের নামাযকে। কেননা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : এই দুইটি নামায অর্থাৎ ফযর ও এশা মুনাফিকের জন্য সবচেয়ে কঠিন। এই দুইটি নামায জামায়াতে পড়ার সওয়াব কত তা জানালে লোকেরা কিছুতেই তা ত্যাগ করতো না । (সহীহ আল বোখারী)