নামায শেষে দোয়া
মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী
১. সালাম ফিরানোর পর ৩ (তিন) বার আস্তাগফিরুল্লাহ (َسْتَغْفِرُ اللَّهَا) এবং
২. একবার আল্লাহু আকবার (اَللهُ اَ كْبَرُ)
৩.এরপর-পড়তে হয় اَللّٰهُمَّ اَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلاَلِ وَالْاِكْرَامِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আনতাছ সালামু ওয়া মিনকাছ সালামু তাবারাকতা ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম।
অর্থ : হে আল্লাহ! শান্তির উৎস তুমি, তোমার থেকেই আসে শান্তি। হে প্রতাপশালী মহা মর্যাদার অধিকারী।
তুমি বড়ই বরকতময়-প্রাচুর্যশালী।
দোয়ার পদ্ধতি :
দু’আর শুরু ও শেষে আল্লাহতায়ালার হামদ-ছানা ও নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লামের প্রতি দরূদ পাঠ করা উচিত। বিনয় ও ন¤্রতার সঙ্গে কেঁদে কেঁদে দোয়া করা উচিত এই বিশ্বাস নিয়ে যে, আল্লাহতায়ালা আমাদের দোয়া শোনেন এবং কবুল করেন। তিনিই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি দান করেন এবং সকল প্রয়োজন পূরণ করেন। আল্লাহ ছাড়া দোয়া কবুলকারী ও বিপদ থেকে পরিত্রাণকারী আর কেউ নেই।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন-“আমি নামাজ পড়ছিলাম। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ও উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন। যখন আমি বসলাম তো প্রথমে আল্লাহতায়ালার হামদ-ছানা করলাম এবং নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরূদ পড়লাম। এরপর নিজের জন্য দোয়া করলাম। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘প্রার্থনা কর, তোমার প্রার্থনা মঞ্জুর হবে। প্রার্থনা কর, তোমাকে দান করা হবে’।” (জামে আত-তিরমিযী)
সাহু সাজদা :
যদি ভুলক্রমে নামাজের কোনো ফরয আগ-পিছ হয়ে যায় কিংবা কোনো ওয়াজিব বাদ পড়ে যায় অথবা নামাযি রাকা’আত-সংখ্যা ভুলে যায় তাহলে সাহু সেজদা করলে নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজগুলো করলে নামায ভেঙ্গে যাবে এবং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে।
সাহু সাজদার নিয়ম :
সাহু সাজদার পদ্ধতি হল, নামাযের শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পর একদিকে (ডান দিকে) সালাম ফিরিয়ে দু’টি সাহু সাজদা করবে। এরপর আত্তাহিয়্যাতু ও দরূদ শরীফ ও দোয়া পড়ে সালাম ফিরায়ে নামায শেষ করবে।