Home ইসলাম নামায পড়ার সংক্ষিপ্ত নিয়ম

নামায পড়ার সংক্ষিপ্ত নিয়ম

by admin
0 comment

নামায পড়ার সংক্ষিপ্ত নিয়ম


মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী

১. প্রথমে কেবলামুখী হয়ে জায়নামাযে দাঁড়িয়ে জায়নামাযের দোয়া পড়তে হয় এবং যে নামায পড়ার ইচ্ছা করেছেন মনে মনে তার নিয়্যত করতে হবে। যেমন, আমি আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ফজরের দুই রাকা’আত সুন্নাত নামায পড়ছি।

২. এরপর উভয় হাত কান পর্যন্ত ওঠাবেন। হাতের তালু ও আঙুল কিবলামুখী থাকবে এবং আঙুলগুলো কানের লতি বরাবর নিচে থাকবে।

৩. এরপর আল্লাহু আকবার’বলে নাভির উপরে হাত বাঁধুন। ডান হাত বাম হাতের উপর থাকবে এবং দৃষ্টি সেজদার স্থানে নিবদ্ধ থাকবে।

৪. এরপর অনুচ্চস্বরে ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা’পড়–ন এবং ‘আউযুবিল্লাহ’ ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে সূরা ফাতিহা পড়ুন।

৫. এরপর অনুচ্চস্বরে আমীন বলে অন্য একটি সূরা কিংবা একটি বড় আয়াত বা ছোট তিন আয়াত তেলাওয়াত করুন। ইমামের পিছনে নামায পড়লে ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা’র পর কিরাত পড়লে চলবে। কেউ যদি পড়ে ফেলে তবে সে সূরা ফাতেহার বেশী পড়বেনা।

৬. এরপর আল্লাহু আকবার’ বলতে বলতে রুকু করুন। রুকুতে পিঠ সোজা থাকবে এবং হাতের আঙুলগুলো ফাঁকা ফাঁকা করে শক্ত করে হাঁটু ধরতে হবে। রুকুতে তিন বার বা পাঁচ বার তাসবীহ পড়–ন।

৭. এরপর সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলতে বলতে সোজা হয়ে দাড়ান এবং ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলুন। ইমামের পিছনে থাকলে ইমাম সামিআল্লাহু লিমান হামিদা’ বলবে আর মুক্তাদী শুধু ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলুন।

৮. এরপর আল্লাহু ‘আকবার’বলতে বলতে সেজদায় যান। সেজদায় যথক্রমে দুই হাটু, দুই হাত, নাক এবং সবশেষে কপাল ভূমিতে রাখুন। হাতের আঙুলগুলো কিবলামুখী থাকবে। কনুই পাঁজর থেকে এবং পেট উরু থেকে আলাদা থাকবে। পুরুষের কনুই ভূমিতে বিছানো যাবে না। সেজদায় তিন বার বা পাঁচ বার তাসবীহ পড়ৃন।

৯. এরপর যথাক্রমে কপাল, নাক এবং সবশেষে হাত উঠিয়ে তাকবীর বলতে বলতে বসুন।

১০.এরপর পুনরায় তাকবীর বলতে বলতে দ্বিতীয় সেজদা করুন।

১১.এরপর তাকবীর বলতে বলতে উঠুন। ওঠার সময় যথাক্রমে কপাল, নাক, হাত সবশেষে হাটু ভূমি থেকে উঠিয়ে সোজা দাঁড়িয়ে যান। দাঁড়িয়ে হাত বাঁধুন এবং ‘বিসমিল্লাহ’সহ সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়–ন। ইমামের পিছনে হলে কিরাত পড়বেন না।

১২.এরপর পূর্বের নিয়মে রুকু, কাওমা, সেজদা, জলসা এবং দ্বিতীয় সাজদা করুন। পুরুষের বেলায় সেজদা থেকে উঠে বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসুন এবং ডান পা খাড়া রাখুন ও দুই হাত উরুর উপর রাখুন। (হাতের আঙুলের অগ্রভাগ হাঁটু বরাবর থাকবে)।

১৩.এবার আত্তাহিয়্যাতু’ পড়–ন।“আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” পর্যন্ত পোঁছালে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলের মাথা পরষ্পরের সঙ্গে মিলিয়ে গোলক তৈরী করুন, কনিষ্ঠা ও অনামিকা মুড়ে তালুর সাথে লাগিয়ে রাখুন এবং তর্জনী উঠিয়ে ইশারা করুন। ‘লা-ইলাহা’ বলার সময় তর্জনী উঠবে, ‘ইল্লাল্লাহু’ বলার সময় নামবে।

১৪.এরপর বৈঠকের শেষ পর্যন্ত ডান হাত এ অবস্থাতেই থাকবে। দুই রাকা’আত বিশিষ্ট নামায হলে আত্তাহিয়্যাতু’শেষ হওয়ার পর দরূদ শরীফ পড়–ন। এরপর দোয়া মাসূরা পড়ে ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করুন।

১৫.যদি তিন বা চার রাকা’আত বিশিষ্ট নামায হয় তাহলে ‘আত্তাহিয়্যাতু’র পর কোনো দরূদ না পড়ে তাকবীর বলতে বলতে দাঁড়িয়ে যান। এরপর এক রাকা’আত কিংবা দুই রাকা’আত পড়ে নামায শেষ করুন।

১৬.ফরয নামাযের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকা’আতে সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা পড়া জরুরী নয়।

You may also like