Home ইসলাম নামায কিভাবে পড়বো (পব-৩ ) (নামাযে কি কি পড়তে হয়)

নামায কিভাবে পড়বো (পব-৩ ) (নামাযে কি কি পড়তে হয়)

by admin
0 comment

নামায

নামায কিভাবে পড়বো (পব-৩ )

(নামাযে কি কি পড়তে হয়)

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী

৩. আযান ও ইকামত

আযানের গুরুত্ব

আযানে আমরা যা বলি

আযানের উত্তর

আযানের দোয়া

ইকামত

আযান ও ইকামত

নির্দিষ্ট সময়ে সকল মুসুল্লি মিলে একত্রে ফরয নামায আদায় করাকে ‘জামায়াতে নামায আদায়’ বলা হয়। জামায়াতে নামায আদায়ের জন্য মুসুল্লিদেরকে মসজিদের দিকে আহবান করাকে ‘আযান’ বলা হয়। আযান শব্দের অর্থ ‘আহ্বান।’ আযান সুন্নতে মুআক্কাদাহ। আযানের জন্য হাদীস শরীফে যে কতিপয় শব্দ নির্দিষ্ট আছে তাই আযান হিসেবে স্বীকৃত। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের জন্য লোকদেরকে অন্য কোনো কথা বলে আযানের বিধিবদ্ধ শব্দমালা দিয়েই লোকদেরকে মসজিদে জামায়াতের জন্য আহবান করতেন।

আযান : আযানের গুরুত্ব

ফরয নামাযের জন্য আযান সুন্নাত। জানাযার নামায ও ঈদের নামাযে আযান দেয়ার বিধান নেই। তবে কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তার কানে আযান দেয়ার বিধান রয়েছে। জুম’আর জামায়াতে হাযির হওয়ার কুরআনী আহবান।

إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْم ِالْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَ‌ٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْكُنتُمْ تَعْلَمُونَ

উচ্চারণ : ইযা নু’দিয়া লিস্সালাতি মিন ইয়াওমিলজুময়াতি ফাসয়াও ইলা যিকরিল্লাহি ওয়াযারুল বাইয়্যা যালিকুম খায়রুল্লাকুম ইন কুনতুম তা’লামুন।

অর্থ : যারা ঈমান এনেছো, জুম’আর দিন। যখন নামাযের জন্য তোমাদের ডাকা হয় তখন আল্লাহর যিকরের দিকে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ছেড়ে দাও। এটাই তোমাদের জন্য বেশী ভাল যদি তোমাদের জ্ঞান থাকে। (সূরা ৬২ জুম’আ : আয়াত ৯)

আযানের গুরুত্ব ও মাহাত্ম সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ বাণী :

১.             যে ব্যক্তি আযান দিবে ও ইক্বামাত বলবে এবং আল্লাহকে ভয় করে চলবে, আল্লাহ তার গোনাহ মার্জনা করে তাকে জান্নাত দান করবেন।

২.             অন্য এক হাদীসে আছে : সাত বছর পর্যন্ত বিনা বেতনে/পারিশ্রমিকে কেউ আযান দিলে বিনা হিসেবে সে জান্নাতে যাবে।

৩.            মুয়াযযিনের আওয়াজ যতদুর পৌঁছবে ততদূরে জিন, ইনসান, আসমান-জমিন, গাছ-পালা, পশু-পাখী সকলেই তার জন্য সাক্ষ্য দিবে।

৪. আযান দেয়া ও প্রথম কাতারে শামিল হওয়ার সওয়াবের কথা মানুষ জানে না। যদি তারা তা জানতো তাহলে তারা লটারীর মাধ্যমে ভাগ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতো। মানুষ যদি নামাযের সওয়াবের কথা জানতো তাহলে তার জন্য তারা দৌড়িয়ে মসজিদে যেত। আর তারা যদি এশা ও ফজরের নামাযের সওয়াবের কথা জানতো তাহলে (হাঁটার শক্তি না থাকলে) হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে আসতো। (সহীহ বোখারী ও সহীহ মুসলিম)

৫. মুয়াযযিনের আযানের স্বর যতোদূর পৌঁছে ততোদূরের সকলেই কেয়ামতের দিন মুয়াযযিনের পক্ষে সাক্ষ্যদান করবে। কেউ যদি বকরী চরাতে গমন করে তবে সেখানেই উচ্চস্বরে আযান দিবে। কেননা তার আযানের স্বর যতোদূর পৌঁছবে তার মধ্যে অবস্থিত সকল সৃষ্টি জীবই তার পক্ষে কেয়ামতের দিন সাক্ষ্যদান করবে। (সহীহ আল বোখারী)

৬. আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যে কোন তিনজন লোক একত্রে থেকে আযান দিবেনা ও একত্রে নামায কায়েম করবেনা, শয়তান তাদেরকে পরাস্ত করে নিবে। (মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ ও আন-নাসায়ী)

৭. আবু মাহযুরা হতে বর্ণিত। রাসূল্ল্লুাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আযান দেয়ার এ পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহু আকবার দ্’ুবার, আশহাদু আল-লাইলাহা ইল্লাল্লাহ দু’বার। আশহাদু আন্না মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ দু’বার বলতে হবে। অতঃপর এ সাক্ষ্যদ্বয় পুনরায় দু’বার করে উচ্ছারণ করবে। তারপর হাইয়া-আলাস্সালাহ দু’বার ও হাইয়া-আলাল ফালাহ দু’বার। ইসহাক বাড়ায়ে বলেছেন যে, আল্লাহু আকবার ও   লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ একবার বলবে। (সহীহ মুসলিম)

৮. আবু মাহযুরা বলেন : আমাকে রাসূলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আযান শিক্ষা দিয়েছেন, ‘ফজরের হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার পর আস্সালাত ুখায়রুম মিনান নাউম বলবে।

৯. হযরত তালহা ইবনে ইয়াহইয়া তার চাচা থেকে বর্ণনা করেন যে-‘আমি মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে ছিলাম। এমন সময় মুয়াজ্জিন এসে তাঁকে নামাযের বিষয়ে অবহিত করলো। মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘আমি রাসূল্ল্লুাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, আযান দানকারীদের গ্রীবা (শির) কিয়ামতের দিন সবচেয়ে উঁচু হবে।’ (সহীহ মুসলিম)

১০.উম্মুল মোমেনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ রকম অভ্যাস ছিল যে, তিনি যখন ঘরে তাশরীফ আনতেন কোন লৌকিকতা ছাড়াই ঘরবাসীদের সাথে প্রাণ খুলে কথাবার্তা বলতেন। কিন্তু মুয়াজ্জিনের আযান শোনা মাত্রই তিনি এরূপ ব্যাকুল হয়ে উঠতেন যে, সাথে সাথে আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ করে দিতেন এবং নামাযের প্রস্তুতি নিতেন। তখন তাঁর অবস্থা দেখে মনে হতো, আমরা যেনো তাঁর অপরিচিত। এর কারণ এই ছিল যে, আল্লাহতায়ালা এবং তাঁর বান্দার মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র সূত্র হচ্ছে নামায; সুতরাং এই নামাযের জন্য স্ত্রী-পুত্র তো বটেই এমনকি সমগ্র দুনিয়া এবং দুনিয়ায় যা কিছু আছে তার সবকিছু বিনষ্ট হলেও কিছু আসে যায় না।

আযানে আমরা কি বলি

আযানে আমরা কি বলি তাও জানা একান্ত দরকার। নিম্নে আযানের অর্থসহ তা বিস্তারিত বর্ণিত হলো :

১. اَللهُ اَكْبَر -= اَللهُ اَكْبَر

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার-আল্ল¬াহু আকবার।

অর্থ : আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ-আল্ল¬াহ সর্বশ্রেষ্ঠ।

২.اَشْهَدُ أَنْ لاَّ اِلٰهَ اِلاَّ اللهُ -= اَشْهَدُ اَنْ لاَّ اِلٰهَ اِلاَّ اللهُ

উচ্চারণ : আশহাদু আল ¬লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ -আশহাদু আল¬ লা-ইলাহা ইল্ল¬াল্লাহ

অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্ল¬াহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই – আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্ল¬াহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।

৩. اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهُ – = اَشْهَدُ اَنّ َمُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهُ

উচ্চারণ : আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্ল¬াহ – আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্ল¬াহ।

অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি- মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি- মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।

৪. حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ – = حَيّ َعَلَى الصَّلَاةِ

উচ্চারণ : হাইয়্যা আলাস সালাহ-হাইয়্যা আলাসসালাহ।

অর্থ : সলাতের (নামাযের) দিকে আসুন – সলাতের (নামাযের) দিকে আসুন।

৫. حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ – = حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ

উচ্চারণ : হাইয়্যা আলাল ফালাহি-হাইয়্যা আলাল ফালাহি।

অর্থ : কল্যাণের দিকে আসুন – কল্যাণের দিকে আসুন।

৬. اَللهُ اَكْبَر -= اَللهُ اَكْبَر

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার-আল্ল¬াহু আকবার।

অর্থ : আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ-আল্ল¬াহ সর্বশ্রেষ্ঠ।

৭. لَا اِلٰهَ اِلاَّ اللهُ

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

অর্থ : কোনো মাবুদ নেই, একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত।

ফজরের নামাযের আযানে অতিরিক্ত যে দুটি বাক্য উচ্চারণ করতে হয়-

৮. اَلصَّلَاةُ خَيْرٌ مِّنَ النَّوْمِ – = اَلصَّلَاةُ خَيْرٌ مِّنَ النَّوْمِ

উচ্চারণ : আস্ সালাতু খাইরুম মিনান নাওম – আস্ সালাতু খাইরুম মিনান নাওম

অর্থ : ঘুমের চেয়ে নামায উত্তম – ঘুমের চেয়ে নামায উত্তম।

আযানের উত্তর

১. اَللهُ اَكْبَرُ -= اَللهُ اَكْبَرُ

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার – আল্ল¬াহু আকবার।

অর্থ : আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ – আল্ল¬াহ সর্বশ্রেষ্ঠ।

২. اَشْهَدُ أنْ لاَّ اِلٰهَ اِلاَّ اللهُ – = اَشْهَدُ ا َنْ لاَّ اِلٰهَ   اِلاَّ اللهُ

উচ্চারণ : আশহাদু আল ¬লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ – আশহাদু আল¬ লা-ইলাহা ইল্ল¬াল্লাহ।

অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্ল¬াহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই – আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্ল¬াহ ব্যতীত কোন্ েইলাহ নেই।

৩. رَضِيْتُ بِالَّلهِ رَبَّا وَّبِالْاِسْلاَمِ دِيْنًا وَبِمُحَمَّدٍ رَّسُوْلا ً صَلَّي اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

উচ্চারণ : রাদীতু বিল্ল¬াহি রাব্বান, ওয়া বিল ইসলামে দ্বীনান ওয়া বি মুহাম্মাদিন রাসূলান সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

অর্থ : আমি সন্তুষ্ট হয়েছি আল্লাহকে রব হিসেবে লাভ করে, ইসলামকে দ্বীন বা জীবন বিধান হিসেবে লাভ করে এবং হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল হিসেবে পেয়ে।

৪. – لَاحَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِالَّلهِ = لَاحَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِالَّلهِ

উচ্চারণ : লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্ল¬া বিল্লাহ-লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থ : আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারোর নেক কাজ করার শক্তি নেই এবং বদ কাজ থেকে বেঁচে থাকারও ক্ষমতা নেই।

 

৫. – لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ = لَاحَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ

উচ্চারণ : লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা ইল্ল¬া বিল্লাহ-লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থ : আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারোর নেক কাজ করার শক্তি নেই এবং বদ কাজ থেকে বেঁচে থাকারও ক্ষমতা নেই।

৬. اَللهُ اَكْبَرُ -= اَللهُ اَكْبَرُ

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার-আল্ল¬াহু আকবার।

অর্থ : আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ-আল্ল¬াহ সর্বশ্রেষ্ঠ।

৭. لَا اِلٰهَ اِلاَّ اللهُ

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

অর্থ : কোনো মাবুদ নেই, একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত।

ফযরের আযানের সময়ে অতিরিক্ত বাক্যের জবাবে বলতে হয়-

৮.صَدَّقْتَ و َبَرَرْتَ

উচ্চারণ : সাদ্দাক্বতা ওয়া বারারতা।

অর্থ : তুমি সত্য বলেছ এবং সৎ কাজ করেছ।

আযানের দোয়া

اَللّٰهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَوةِ الْقَائِمَةِ اَتِ مُحَمَّدَنِ الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَالدَّرَجَةَ                                                                  الرَّفِيْعَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًامَّحْمُوْدَنِ الَّذِيْ وَعَدَتَّهُ اِنَّكَ لا َتُخْلِفُ الْمِيْعَادْ

উচ্চারণ : আল্ল¬াহুম্মা রাব্বা হাযিহীদ্দা‘ওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস্সালাতিল ক্বা-য়িমাতি আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়ালফাদ্বীলাতা ওয়াদ্দারাজাতিররাফী’য়াতা ওয়াবআসহু মাক্বামাম মাহমুদানিল্ল¬াযী ওয়া‘আদতাহু ইন্নাকা লা তুখলিফুল মীয়াদ।

অর্থ : হে আল্লাহ, এ পরিপূর্ণ আহ্বান ও শাশ্বত নামাযের তুমিই প্রভু; হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দান করো সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান ও সুমহান মর্যাদা এবং জান্নাতের শ্রেষ্ঠতম প্রশংসিত স্থানে তাঁকে তুমি অধিষ্ঠিত করো। যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছ। নিশ্চয়ই তুমি ভঙ্গ করো না অঙ্গীকার।

এই আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দৈনিক পাঁচ বার আমরা উচ্চারণ করি, কিন্তু আল্লাহর রাজ কায়েমের কোনো চেষ্টাই করি না। হাত না নাড়ালে একটা খড় কুটাওতো নড়ে না। আল্ল¬াহর শ্রেষ্ঠত্ব কায়েমের চেষ্টা না করলে কি করে শ্রেষ্ঠত্ব কায়েম হবে?

ইকামাত : ইকামাতের গুরুত্ব

ফরয নামায শুরুর আগে মুয়াজ্জিন বা ইমামের অনুমতি সাপেক্ষে একজনকে ইকামত দিতে হয় তা আযানের মতোই। শুধু হাইয়্যা আলাল ফালাহর পরে বলতে হয়-

قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ – = قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ

উচ্চারণ : ক্বাদ্ব ক্বামাতিছ ছলাহ-ক্বাদ্ব ক্বামাতিছ ছালাহ।

অর্থ : নামায আরম্ভ হল – নামায আরম্ভ হল।

১. اَللهُ اَكْبَرُ -= اَللهُ اَكْبَرُ

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার-আল্ল¬াহু আকবার।

অর্থ : আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ-আল্ল¬াহ সর্বশ্রেষ্ঠ।

২.اَشْهَدُ أَنْ لاَّ اِلٰهَ اِلاّ َاللهُ -= اَشْهَدُ اَنْ لاَّ اِلٰهَ اِلاَّاللهُ

উচ্চারণ : আশহাদু আল ¬লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ- আশহাদু আল¬ লা-ইলাহা ইল্ল¬াল্লাহ।

অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্ল¬াহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই-আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্ল¬াহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।

৩. اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْل ُ اللهُ -= اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْل ُاللهُ

উচ্চারণ : আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্ল¬াহ-আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্ল¬াহ।

অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি- মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল – আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি- মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।

৪. حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ – = حَيّ َعَلَى الصَّلَاةِ

উচ্চারণ : হাইয়্যা আলাস সলাহ-হাইয়্যা আলাস সলাহ।

অর্থ : সালাতের দিকে আসুন – সালাতের দিকে আসুন।

৫. حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ – = حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ

উচ্চারণ : হাইয়্যা আলাল ফালাহি-হাইয়্যা আলাল ফালাহ।

অর্থ : কল্যাণের দিকে আসুন – কল্যাণের দিকে আসুন।

৬. قَد ْقَامَتِ الصَّلَاةُ -= قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ

উচ্চারণ : ক্বাদ্ব ক্বামাতিস সলাহ -ক্বাদ্ব ক্বামাতিস সালাহ।

অর্থ : নামায আরম্ভ হলো – নামায আরম্ভ হলো।

৭. اَللهُ اَكْبَرُ -=اَللهُ اَكْبَرُ

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার-আল্ল¬াহু আকবার।

অর্থ : আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ-আল্ল¬াহ সর্বশ্রেষ্ঠ।

৮. لَا اِلٰهَ اِلاَّ اللهُ

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু।

অর্থ : কোন মাবুদ নেই, একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত।

 

 

 

You may also like