Home ইসলাম নামাযের জন্য অপেক্ষা করার ফযীলত

নামাযের জন্য অপেক্ষা করার ফযীলত

by admin
0 comment

নামাযের জন্য অপেক্ষা করার ফযীলত

মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী

 

১.হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন : আমি কি তোমাদেরকে এমন বিষয় জানাব না, যার মাধ্যমে আল্লাহ গুনাহসমূহ খতম করে দেন এবং মর্যাদাবৃদ্ধি করেন? সাহাবাগণ বললেন: হাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন : তা হচ্ছে কঠিন অবস্থায় পুরোপুরি ওযু করা, মসজিদের দিকে বেশী পদক্ষেপ গ্রহণ করা (অর্থাৎ বেশী দূর থেকে মসজিদে আসা) এবং এক নামাযের পর আর এক নামাযের জন্য অপেক্ষা করা। এটিই হচ্ছে তোমাদের সীমান্ত প্রহরী।এটিই হচ্ছে তোমাদের সীমান্ত প্রহরী।

২.হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন:যতক্ষণ নামাযের জন্য প্রতীক্ষা কোন ব্যক্তিকে আটকে রাখে এবং যতক্ষণ নামায ছাড়া অন্য কিছু তাকে গৃহে পরিজনদের কাছে ফিরে যাওয়ার পথে বাধা দেয়না, ততক্ষণ সে নামাযের মধ্যেই থাকে।

৩.হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামায মধ্যরাত পর্যন্ত দেরী করে পড়লেন। নামাযের পর আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন : সমস্ত লোক নামায পড়ার পর ঘুমিয়ে পড়েছে কিন্তু তোমরা যখন থেকে নামাযের অপেক্ষায় আছ তখন থেকে নামাযের মধ্যেইআছ।

চেষ্টা করার পরও যদি জামায়াত পাওয়া না যায়

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন : কেউ যদি ঘর থেকে উত্তমরূপে অযু করে জামায়াতে নামায পড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে মসজিদের দিকে ওয়ানা হয় এবং গিয়ে দেখে যে, মসজিদে জামায়াত হয়ে গেছে, তবুও সে জামায়াতের পূর্ণ সওয়াব পাবে। কেননা সে জামায়াতে শামিল হওয়ার নিয়ত করেছিল এবং জামায়াত ধরার পরিপূর্ণ চেষ্টা করেছে। (আবু দাউদ)

You may also like