নামাযি আল্লাহর সান্নিধ্য এবং আরশে ছায়া পাবে
মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী
১. বান্দা তার প্রভুর সবচেয়ে বেশী নিকটবর্তী হয় তখন, যখন সে সেজদায় যায়। (সহীহ মুসলিম)
২. অবশ্যই তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নামায আদায় করে, তখন সে তার প্রভুর সাথে কথা বলে। (সহীহ আল বোখারী)
৩.হাদীস শরীফে আছে, যে ব্যক্তি নামায পড়ে মসজিদ হতে বের হয়, কিন্তু পরবর্তী নামাযে শরীক না হওয়া পর্যন্ত তার অন্তঃকরণ মসজিদের দিকেই থাকে এবং সে যথাসময়ে নামায সম্পন্ন করে। সে ব্যক্তি কিয়ামতের কঠিন দিবসে আল্লাহ আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবে।
নামাজ মানুষকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে
১.হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহতায়ালা বলেন, আমি আপনার উম্মতের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছি এবং আমি আমার নিজের সাথে অঙ্গীকার করেছি, যে ব্যক্তি যথাসময়ে নামাযসমূহের পূর্ণ হিফাযত করবে, আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো। আর যে নামায সমূহের হিফাযত করবে না তার জন্য আমার কাছে কোনো অঙ্গীকার নেই। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
২. হাদীসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায যথারীতি আদায় করবে, আল্লাহ তাকে পাঁচটি মর্যাদা দান করবেন :
ক. তার দারিদ্র দূর করবেন।
খ. তাকে কবরের আযাব থেকে মুক্তি দেবেন।
গ. তার আমমলনামা ডান হাতে দেবেন।
ঘ. বিদ্যুৎবেগে তাকে পুলসিরাত পার করাবেন। এবং
ঙ. তাকে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।