সকল প্রশংসা সে মহান আল্লাহ তায়ালার। যিনি আদি-অন্ত, ব্যক্তগুপ্ত, অনাদি-অনন্ত, অক্ষয়, অব্যয়, চিরন্ত সত্ত। তিনি উন্নত, মহান ও মহামান্বিত । সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। আধার রাতে নিরেট পাথরের ওপর কালো পিপড়ার পদচারণা এবং ক্ষুদ্র বালু-কণার সংখ্যা সম্পর্কেও তিনি সম্যক অবগত। সবকিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন নিখুত পরিকল্পনা অনুসারে। আকাশমন্ডলী তিনি উর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন স্তম্ভ ছাড়াই এবং সেগুলোকে সুশোভিত করেছেন উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজি দ্বারা। তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ্ত সূর্য্য এবং জ্যোতিময় চন্দ্র । আর তার ওপর তৈরি করেছেন সুউচ্চ, প্রশস্ত ও গোলাকার সিংহাসন তথা মহা আরশ।
সৃষ্টজীবের জন্য পানির তরঙ্গের ওপর সৃজন করেছেন তিনি পৃথিবী। তার ওপরে স্থাপন করেছেন সুদৃঢ় পর্বতমালা। তিনি মাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন। নিরাপদ আধারে তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে তার বংশধর সৃষ্টি করে উল্লেখযোগ্য কিছু না থাকার পর তাকে শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন আর শিক্ষাদান করে তাকে করেছেন সম্মানিত। আদি পিতা আদম আ. কে নিজের পবিত্র হাতে সৃষ্টি করেছেন তিনি , গঠন করেছেন তার অবয়ব। নিজের পক্ষ থেকে তাদের মধ্যে সঞ্চায় করেছেন আত্না এবং ফেরেশতাদেরকে তার সামনে করেছেন সেজদাবনত। অতঃপর তার থেকে সৃষ্টি করেছেন তারই সহধর্মিনী, আদি মাতা হাওয়া আ. কে । এবং তাদেরকে বসবাস করতে দিয়েছেন তার জান্নাতে এবং পূর্ণমাত্রায় দান করেছেন অপুরন্ত নিয়ামত ।
তারপর তার মহাপ্রজ্ঞায় পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে নামিয়ে দেন পৃথিবীতে এবং তাদের থেকে বিস্তার ঘটিয়েছেন অসংখ্য নর-নারীর । তাদেরকে বিভক্ত করেছেন রাজা-প্রজা, গরিব-ধনী, স্বাধীন-অধীন ও নর-নারীতে । তাদের অধীন করে দিয়েছেন সকল সৃষ্টিকে ।
যেমন আল্লাহ তা’য়ালা বলেন ঃ তোমরা আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ গণনা করলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। {সূরা নিসা: ১৪:৩৪ }
অতএব, পবিত্রতা ঘোষণা করছি সে সত্তার, যিনি মহানুভব, মহান ও পরম সহনশীল ।