মাছির এক ডানায় জীবাণু থাকলে অপর ডানায় তার প্রতিষেধক:
ছোটবেলায় শুনতাম চায়ের কাপে মাছি পড়ে গেলে তাকে ভালভাবে চুবিয়ে সেই চা পান করা উত্তম। কারন মাছির এক ডানায় জীবাণু থাকলে অপর ডানায় তার প্রতিষেধক থাকে। কথাটি বৈজ্ঞানিকভাবে কতটা যথার্থ তা আমার জানা নেই। তবে তখন থেকেই একটা বিষয় মাথায় গেঁথে যায় তা হল প্রকৃতি যে উপায়ে আমাদের অসুখ দিয়ে থাকে, ঠিক সেই পথেই তার প্রতিষেধকও থাকে। যার জলজ্যান্ত উদাহরণ হল বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক, ভাক্সিন ইত্যাদি। জীবাণু থেকেই এগুলোর আবিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু আজ আরও একটি বিষয়ে তার প্রমান পেলাম। ইদানীং আমার সহধর্মিণী স্বাস্থ্যগত দিক চিন্তা করে সবচেয়ে পছন্দের খাবার চিংড়ি খেতে বারণ করেছে। চিংড়ি মাছে উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে। আমার শীর্ণকায় দেহে কোলেস্টেরলের আধিক্য আবার বেশি। তাই দীর্ঘায়ু লাভের আশায় তা ছেড়ে দিতে হল। কিন্তু বিধাতা বোধ হয় আমার খাদ্য কষ্ট দেখে একটা উপায় বের করে দিয়েছে। চিংড়ির মধ্যে ASTAXANTHIN নামক এক রঞ্জক পদার্থের সন্ধান পাওয়া গেছে যা ভিটামিন ই এর চেয়েও ১০০০ গুন শক্তিশালী। আমরা সবাই জানি ভিটামিন ই শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমান কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং যে কোলেস্টেরল বাড়ার কথা ভেবে বাদ দিয়েছিলাম চিংড়ি খাওয়া, তা আর দরকার নেই। শুধু তাই নয়, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ সহ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে এই যৌগটির অসাধারণ কার্যকরী ক্ষমতা প্রমানিত হয়েছে। এখন থেকে চুল পড়া, গায়ের রঙ বদলে যাওয়া সহ খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমান কমানোর জন্য সবাই চিংড়ি খেতে শুরু করুন।
বিঃ দ্রঃ- বাংলাদেশি গবেষকের আবিষ্কার মতে চিংড়ির খোসা খাদ্য সংরক্ষনেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিঃ বাজারে প্রচলিত ভিটামিন ই ক্যপ্সুলের প্রধান ব্যবহার হল মেয়েদের প্রসাধনী হিসেবে। কিন্তু চিংড়ি সেভাবে ক্রিমের মধ্যে দিয়ে শরিরে লাগালে উপকার হবে কিনা নিশ্চিত নই।
Collected from Facebook Post of Md Abdul Muhit