দুনিয়াকে আখেরাতের উপর অগ্রাধিকার দেওয়ার মর্মার্থ:
তোমরা বৈষয়িক সুখ-শান্তি, আনন্দ-ফুর্তি, আরাম-আয়েশ ও ভোগ-সম্বোগের চিন্তায়ই মশগুল হয়ে থাকছ এবং এরই জন্য তোমরা তোমাদের সমস্ত চেষ্টা-সাধনা ও তৎপরতা নিযুক্ত রেখেছ। এখানে যা কিছু লাভ হয় । তোমরা মনে কর, এটাই হলো আসল পাওনা এবং এখানে যে জিনিস হতে তোমরা বঞ্চিত থেকে যাও, তোমরা মনে কর তাই আসল ক্ষতি।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে:
بل تؤثرون الحيوة الدنيا
“কিন্তু তোমরা অগ্রাধিকার দাও পার্থিব জীবনকে”
দুনিয়াকে আখেরাতের উপর অগ্রাধিকার দেওয়ার দু’টি অর্থ হতে পারে:
১. আখেরাতকে মোটেই বিশ্বাস না করা, পূনরুত্থানকে অস্বীকার করা। এরা হলো কাফের, নাস্তিক। তারা পরকালকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দুনিয়ার শান্তি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে
২. এর অপর অর্থ হলো আখেরাতকে বিশ্বাস করা, কিন্তু এটা পারলৌকিক স্বার্থের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে ইহকালীন স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া। এরা হলো ফাসিক মুমিন।
অপর আয়াতে বলা হয়েছে:
وَٱلْـَٔاخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰٓ
“অথচ আখেরাতই উত্তম ও স্থায়ী”
দুনিয়া থেকে পরকাল উত্তম হওয়ার কয়েকটি কারণ:
১. আখরাতে মানুষের দৈহিক ও মানসিক প্রশান্তি ও সফলতা মিলবে, দুনিয়াতে তা অনুপস্থিত।
২. দুনিয়া আনন্দ ও স্বাদ কষ্টসাধ্য, দুঃখ-ঘেরা; কিন্তু আখেরাতের আনন্দ তার বিপরীত।
৩. দুনিয়া ধ্বংস হবে, আখেরাত ধ্বংস হবে না।