আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমতউল্ল্যাহ। ওয়াল্ড টিউন্স স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমি মো: আনোয়ার হোসেন হাজির হলাম।।
পেয়াজ খান না এমন লোক পাওয়া যাবে না। অনেকেই অনেক ভাবে এই পেয়াজ খান যেমন কেউ তরকারি রান্না করে খান, কেউ সালাদ করে, কেউ ভর্তা বানিয়ে, কেই গোস্তের সাথে কাচা পেয়াজ চাবিয়ে খান, আবার এখন বিভিন্ন হোটেল গুলোতে পুরি, সিঙ্গারা পরিবেশনের সাথে এই পেয়াজ পরিবেশন করেন। সত্যি বলতে পেয়াজ আমাদের জীবনের সাথে নানাহ ভাবে জড়িয়ে গেছে। আমরা ইচ্ছা করলেও এর থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারবো না।
আমার বাসায় একদিন পেয়াজ শেষ। বাসার গিন্নি বললেন, আজ বাসায় পেয়াজ নেই তাই তরকারি রান্না হবে না। অমনি দৌড়ে বাজারে গেলাম আর বুঝতেই পারছেন তার পরের ঘটনা।
পেয়াজ খুব উপকারি হলেও এর উপকারিতা যে খুব ভয়াবহ তা জেনে সবাই কে জানানোর জন্য বসে গেলাম।
ঘটনা।। ১৯১৯ সালে যখন একটি ভাইরাসের কারনে ৪০ লক্ষ লোক মারা যায়। মারা যাওয়ার কারন খুজতে তখন একজন বিশেষজ্ঞ ডা: এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ডা: দেখেন যে এই ভাইরাসের সাথে লড়াই করে অনেক কৃষক আধ মরা হয়ে কোনভাবে বেচে আছে আর অনেকে মারা যায়। ডা: যখন গবেষণার জন্য ঐ কৃষি পল্লিতে আসেন তখন তখন ডা: সাহেব শুনে আশ্চর্য্য হয় যে, মৃত ব্যক্তিরা প্রত্যেকে দেখতে খুব সবল ও সুঠাম দেহের অধিকারী ছিল।
ডা: একজন মৃত কৃষকের স্ত্রীকে জিজ্ঞাস করল যে কি হয়েছিল? তখন তিনি বললেন যে তার স্বামী মাঠ থেকে কাজ শেষে বাড়ী আসবে ভেবে সে একটি ডিসে কিছু পেয়াজ কুচি কুচি করে রেখেছে ভাতের সাথে স্বামীকে দিবে ভেবে। কিন্ত সে ঐদিন স্বামী আসেনি তাই সে পেয়াজ কুচিগুলো রেখে দেয় এবং তা পরের দিন দুপুরে স্বামীকে পরিবেশন করেন। ঐ পেয়াজ কুচিগুলো খেয়েই মহিলাটির স্বামী অসুস্থ হয়ে যায়। কিছু দিনের মধ্যে সে মারা এইভাবে পুরো এলাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
ডা: সাহেব পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে পেলেন যে, কাটা পেয়াজ কুচি করে যদি এক দিনের বেশি সময় রেখে দেওয়া হয় তাহলে ঐ পেয়াজে একধরনের ব্যকটেরিয়া তৈরি হয় যা শরীরের প্রবেশ করলে কিছুক্ষনের মধ্যে রোগীকে দূর্বল করে এবং সঠিক চিকিতসা না পেলে রোগী মারাও যেতে পারে।
পেয়াজ কুচি যদি রাখতে হয় তাহলে ফ্রিজের ৪০০ ফা. তাপমাত্রায় রাখতে হবে তাহলে ৪দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে। ১৯১৯ সালের পর থেকে এ ভাইরাসের ঔষধ আবিষ্কৃত হয়েছে। উপরোক্ত কাহিনিটি এখনো পচলিত আছে।
লেখাটি যদি ভালো লাগে অন্যকে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
বিষয়টি সংগ্রহ করেছি :
References:
Onion information
Onions – FAQs
Onions are not bacteria magnets
Encyclopedia of Folk Medicine – Onions use