নব বিজ্ঞানের তথ্যানুযায় মস্তিস্কে অজস্র প্রকোষ্ঠ (Cell) রয়েছে । প্রতিনিয়ত এ সকল প্রকোষ্ঠ বৈদ্যতিক প্রবাহ ছোটাছুটি করে। অনন্তর এ বৈদ্যুতিক প্রবাহের সাহায্যে মানবীয় কল্পনামালা তদীয় অনুভূতির স্বর্গরাজ্যে তরঙ্গায়িত হয়। মজার ব্যাপার যে, মস্তিস্কে শুধু প্রকোষ্ঠই নয় বরং এতে রয়েছে অসখ্য গৃহনীড়। এই প্রকোষ্ঠ গৃহনীড়ের প্রত্যেকের দায়দায়িত্ব ভিন্ন মস্তিস্কের গৃহসমূহের একটি ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ দ্বারা বস্তুর প্রতিবিম্ব প্রস্তুত করা ও বিভাজনের কাজে। এই প্রতিবিম্ব বা ফটো কখনও হয় খুব কালো, আবার কখনও হয় ঝলসানো। মস্তিস্কের আরেকটি গৃহে (Brain Home) থাকে নিজুত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী। এর কোন তথ্যকে মানবীয় বোধশক্তি পাশ কাটিয়েসযায়। সুফীবাদের ভাষায় এরই নাম আধ্যাত্নিক শক্তি। নামাযী হাত উঠিয়ে যখন উভয় কানের সংস্পর্শে হাত নিয়ে যায়, তখন এক বিশেষ বৈদ্যুতিক কিরণ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম শিরকে নিজ কনডেনসর (Condenser) বিদ্যুৎ মজুতকারী যন্ত্র বানিয়ে মস্তিস্কে নিয়ে যায়। অতঃপর মস্তিস্কস্থিত গৃহের প্রকোষ্ঠগুলোকে চার্জ দিতে থাকে।
যাকে বোধশক্তি এডিয়ে গিয়েছিল। প্রকোষ্ঠগুলি চার্জ হতেই মস্তিস্কে আলোর বন্যা বয়ে যায়। অনন্তর এ আলোকচ্ছটায় প্রভাবিত হয়ে সকল শিরা উপশিরা ঐ গৃহ পানে ধাবিত হতে থাকে, যেথায় আধ্যাত্নিক শক্তিগুলি রয়েছে সুরক্ষিত। যুগপৎ মস্তিষ্কের একটি কিরণ বহুদ্বয়ে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। এভাবে কান ডিঙ্গিয়ে হাত যখন নাভীতে বাঁধা হয় তখন বাহুস্থিত কন্ডেনসর থেকে নাভীতে আলো এসে পুঞ্জিভূত হতে থাকে। যার ফলে নভী মণ্ডলে অবস্থিত যৌন ব্যবস্থায় একটা ভারসাম্য আসে এবং যৌনেন্দ্রীয়গুলিতে প্রয়োজনীয় শিহরণ সৃষ্টি হয়। এতে করে মানব প্রজন্ম অন্য সকল প্রাণী থেকে ভিন্ন ও উত্তম হয়। অতঃপর সুবহানাকা পাঠ করতেই আত্না তার সকল শক্তি ও মাধুরী নিয়ে মহাজগতের প্রভুর প্রশংসায় একাকার হয়ে যায়। এবং মানব দেহে ঐশী প্রশংসাবাণী আলোকবর্তিকা রূপে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৎপর হয়ে যয় রবের স্তুতি গানে।