একগ্রামের পাশে একটি গভীর বন ছিল । সে বনে একজন রাখাল প্রতিদিন গরু নিয়ে মাঠে যেত। সাথে তার খাওয়ার, মাঠে সারাদিন গরু নিয়ে খেলা করত। দুপুর হলে খাওয়ার খেতে গাছ তলায় আসতো এবং খাওয়ার খেত । একাদা রাখাল তার খাওয়ার গাছের নিচে গর্তে রেখে গরুর কাছে অবস্থান করতে লাগল। এদিকে একটি শেয়াল কয়েকদিন ঠিকমত খেতে না পেয়ে শেয়ালের পেটটা বড় শুকিয়ে গিয়েছে। খাবারের খোজে যেতে যেতে হঠাত তার চোখে পড়ল এক ওক-গাছের খোড়লে বেশ কিছু রুটি আর মাংস। শেয়ালটা ঐ খাবার দেখেই গাছের ঐ খোড়লের ভেতর ঢুকে খাবারগুলো গপগপ করে খেয়ে নিল। ফলে পেটটা হয়ে উঠল কার তারুণ মোটা। এবার সে যে আর খোড়ল থেকে বেরুতে পারে না । কিছুতেই বেরুতে না পেরে সে কেউ, কেউ করে কাদতে লাগল।
আর এক শেয়াল তখন ঐ গাছের সামনে দিয়ে যেতে যেতে তার কান্না শুনে বলল, কি হল ভাই, তোমার ! তুমি কেউ কেউ করছ কেন ? প্রথম শেয়ালটা তখন তার মুশকিলের কথা তাকে খুলে বলায় সে বলল, ওঃ এই বুঝিতা একটু সবুর করো, পেট তোসার আবার আগেকার মত শুকনো হোক, তখন অনায়াসে, তুমি ঐ খোড়ল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে ।
ধৈর্য ধরে থাকতে পারলে অনেক ঝঞ্জাটই এক সময় কেটে যায় ।