Home শিক্ষা তোমরা যারা বাইরে মাস্টার্স অথবা পিএইচডি করার চিন্তাভাবনা করছো – তাদের জন্য

তোমরা যারা বাইরে মাস্টার্স অথবা পিএইচডি করার চিন্তাভাবনা করছো – তাদের জন্য

by holymind
0 comment

তোমরা যারা বাইরে মাস্টার্স অথবা পিএইচডি করার চিন্তাভাবনা করছো – তাদের জন্য

holyworld blog

কোন দেশে পড়াশুনো করতে যাবে, সেটা নির্ভর করবে বিভিন্ন জিনিশ এর উপরে। তোমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য, রিসার্চ অপর্চুনিটি , কোনো দেশে যদি তোমার আত্মীয়স্বজন থাকেন এবং তুমি তাদের কাছে থাকতে চাও – ইত্যদি সহ আরো অনেক জিনিশ এর উপরে। এখানে একটা কথা বলে রাখি। আমাদের সবার মধ্যে কিছু ভূল ধারনা আছে – গেলে খালি ইউএস এ তেই যেতে হবে । এটা ভূল। তোমার যদি উচ্চশিক্ষা লক্ষ্য হয় তাহলে তোমার ডিসিশন হওয়া উচিত ইউনিভার্সিটিতে তোমার রিসার্চ এরিয়ার পোর্টফোলিও দেখে এবং প্রফেসর এর কাজ দেখে। তুমি যদি যোগ্য হও তুমি চায়না থেকে পিএইচডি করেও অনেক কিছু করতে পারবে (চায়না কে কেউ এই কথা শুনে আবার বাজে কাতার এ ফেলানোর ভূল না করে যাতে, তাদের কিছু বিশ্ববিদ্যলয়ের রিসার্চের কাজ প্রথম শ্রেণীর।) অনেকের মধ্যে এই ধারনা এখন কাজ করে যে তার সিজিপিএ হয়তবা অসম্ভব ভালো না, অথবা সে বাংলাদেশের সবচাইতে ভালো বিশ্ববিদ্যলয় থেকে পড়ে নি। তাদের জন্য নিচের কথাগুলো জরুরী। এই সিরিজের লেখার প্রথম অংশ ইউএস এ তে এপ্লিকেশন করা নিয়ে কিছু সাধারন কথা, কিছু সাধারণ ভূল এবং এপ্রোচ নিয়ে বলা হলো। লেখাটা বাংলায় কারন অনেকে আছে যাদের জন্য পুরা ইংলিশ এ এধরনের বড়ো লেখা পড়াটা ডিফিকাল্ট হবে।
মাস্টার্স এ ফান্ড পাওয়া US এ তে ডিফিকাল্ট সব সাব্জেক্টের ক্ষেত্রে, বিশেষত STEM (science and technology) এর ক্ষেত্রে। তার মানে এই না যে সেটা সম্ভব না, এবং তার মানে এই না যে তোমার সিজি যদি মিডিয়াম রেঞ্জের হয় ৩ দশমিক ৯ এর রেঞ্জে না হয়ে , তোমার হবেনা। এপ্লিকেশন পোর্টফোলিও শুধুমাত্র তোমার রেজাল্টের উপরে ডিপেন্ড করে না। এটা একটা ওভারঅল জিনিশ – তোমার রেজাল্ট শুধু একটা পার্ট মাত্র। রেজাল্টের পাশাপাশি তোমার হাতে যদি পাবলিকেশন , ভালো জি আর ই স্কোর, আই ই এল টি এস / টোফেল স্কোর থাকে, ভালো স্টেটমেন্ট অফ পারপাস থাকে এবং রেকোমেন্ডেশন থাকে , অবশ্যই সম্ভব।
তোমার সিজিপিএ যাই হোক না কেনো, একটা জিনিশ মনে রাখবে – ভালো প্ল্যানিং, প্রিপারেশন এবং এক্সিকিউশন যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম। উপরে যে কয়টা জিনিশের কথা বললাম, এদের মধ্যে একটাতে ঘাটতি থাকলেও সেটা অন্য কিছু দিয়ে পুরন করা সম্ভব। তোমার যদি জি আর ই স্কোর ৩০০ এর রেঞ্জেও থাকে, কিন্তু তোমার পাব্লিকেশন, স্টেটমেন্ট অফ পারপাস ভালো থাকে তাহলেও অনেক ভালো যায়গায় যাওয়া সম্ভব।
বাইরে যাওয়ার চিন্তা সবার আসলে এভারেজ এ ৩য় বর্ষ থেকেই আসে আমার দেখামতে। তোমার হাতে পাশ করতে এখনো এক দুই বছর আছে ধরে রেখে কথাগুলো বলছিঃ
১) এখন থেকে চেস্টা করতে যে কিছু পাবলিকেশন করতে – যত বেশি তত ভালো। পাবলিকেশন তোমার সিজির যে এপারেন্ট ঘাটতি আছে যেটা তুমি মনে করছো, সেটার ব্যাক আপ হিসাবে কাজ করবে। (এইখানে বলে রাখি, আমরা মনে করি বাইরে পড়তে গেলে হাই সিজি না হলে দুনিয়া উল্টায়ে যাবে – এই ধারনা পুরাই ভূল)।
২) সিজি যত বাড়াতে পারো তত ভালো। It always helps
৩) আগে থেকে প্ল্যানিং শুরু করো। প্রথমে জি আর ই এর ম্যাথ দিয়ে শুরু করো, আস্তে আস্তে তোমার মাথায় ম্যাথ এর টেকনিক গুলা গেথে ফেলাও। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের বেশি করার দরকার নেই, কিন্তু রেগুলার থাকো। আর এখনই ওয়ার্ড মুখস্ত করতে যেও না। এর চাইতে ইংলিশ গল্পের বই , যেমন মারিও পুজোর গডফাদার, টম ক্ল্যান্সির থ্রিলার – এই ধরনের ফাস্ট পেসড বই পড়া শুরু করো। কারন জি আর ই এর ব্যাপারটা আসলে ওয়ার্ড মুখস্ত করার উপরে ডিপেন্ড করেনা । পুরাপুরি একটা ভুল ধারনা ওয়ার্ড মুখস্ত করা- জি আর ই এর ৫০% প্রশ্ন আসবে তোমার রিডিং স্কিলের উপরে , এবং তোমাকে তোমার রিডিং স্কিল ভালো করতে হবে। কাজেই গল্পের বই পড়ো এবং প্রচুর ইংলিশ গল্পের বই পড়ে ফ্লুয়েন্সি আনার চেস্টা করো। প্যাসিভ ভাবে নিজের স্কিল গ্রো করাও – লং টার্মে আরো কাজে দিবে।
৪) জি আর ই তে একটা সেকশন আছে রাইটিং। এই সেকশন টা বেশ ইম্পর্টেন্ট – কিন্তু বাংলাদেশিরা এই সেকশন কে বেশি গুরুত্ব দেয় না। এডমিশন কমিটি এই সেকশনের স্কোর কে বেশ ভালো গুরুত্ব দেয়। তোমাকে চেস্টা করতে হবে এই সেকশনে যত ভালো করতে পারো করতে। এই সেকশনে বাংলাদেশ এবং সাবকন্টিনেণ্ট থেকে এভারেজ মার্কিং ৩-৩ দশমিক ৫ আউট অফ ৬ থাকে। যেকোনো গ্রাড স্কুলে যদি তোমার এখানে স্কোর ৬ এ ৪ এর উপরে থাকে, তোমার এপ্লিকেশন কে যথেস্ট গুরুত্ব দিতে বাধ্য। কারন তারা তোমার লেখার স্টাইলের একটা ইভ্যালুয়েশন পাইতেসে। এই মার্ক টা তোমার ভার্বালে স্কোর যদি খারাপ ও আসে সেটাকে কাটাতে সক্ষম। কাজেই ইংলিশে লেখা প্র্যাক্টিস করো।
এখানে একটা কথা বলি। আমি ফেসবুকে লিখি, ফ্রিকুয়েন্টলি লিখি, বিরক্তিকর পর্যায়ে বড়ো বড়ো স্ট্যাটাস দেই এবং যা দেই সব শুদ্ধ ইংলিশে দেই। এটা নিয়ে অনেকে বিরক্ত হয় এবং কেনো করি এইটা নিয়ে অনেকে অনেকবার প্রশ্ন তুলসে। হনেস্ট উত্তর? আমি জিনিশটা করা শুরু করসিলাম জি আর ই রাইটিং এ রাইটিং ক্যাপাবিলিটি বাড়ানোর জন্য। ফেসবুক এই দিকে তোমার জন্য খুবই ভালো প্র্যাকটিস। তুমি রেগুলার যেহেতু লেখো, সেই লেখাটাই ইংলিশে লেখো, এবং শুদ্ধ ইংলিশে। ইংলিশে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করো, কনস্ট্রাকটিভ আর্গুমেন্ট করা শিখ, ক্রিয়েটিভ রাইটিং করা শিখো। যেহেতু এটা রিয়েল লাইফ কথা বার্তা হচ্ছে, তুমি প্রতি মুহুর্তে তোমার রাইটিং স্টাইলের একটা রিভিউ পাবে। অন্যদের লেখার স্টাইল দেখে বুঝবে নিজেকে আরো ভালোভাবে কিভাবে প্রকাশ করতে হয় এবং কিভাবে নিজের আর্গুমেন্ট কে খুবই সুন্দর করে গুছাতে হয়। কিভাবে একটা ভালো ফিনিশিং দিতে হয় । এগুলো কাজে লাগবে অনেক। ফেসবুক যখন ইউজ ই করতেসো কনস্ট্রাকটিভ ভাবে ইউজ করো।
higher study holyworld blog
৫) স্টেটমেন্ট অফ পারপাস গুরুত্বপূর্ন। তুমি যদি ফল ২০১৬ তে এপ্লাই করতে যাও, আইডিয়ালি তোমার ইউনিভার্সিটি সিলেকশন প্রসেস জানুয়ারি ২০১৫ থেকে মে ২০১৫ পর্যন্ত এবং মে ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত স্টেটমেন্ট অফ পারপাস এর জন্য রাখা উচিত। আমি এটা করেছিলাম। এটা গুরুত্বপূর্ণ। স্টেটমেন্ট অফ পারপাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এপ্লিকেন্ট রা কিছু ভূল করে এবং মেজর ভূল যেটার কারনে বাংলাদেশ থেকে ভালো যায়গায় অনেক সময় ভালো ক্যান্ডিডেট রা যেতে পারেনা। সেটা হলো এপ্লাই করার কয়েকদিন আগে তাড়াহুড়া করে স্টেটমেন্ট অফ পারপাস লেখা এবং এক স্টেটমেন্ট অফ পারপাস সব যায়গায় কুমিরের ছানা হিসাবে দেখানো। এটা একটা ভুল এপ্রোচ। আরেকটা ভূল এপ্রোচ হলো স্টেটমেন্ট অফ পারপাস কপি পেস্ট করে লেখা এবং কঠিন কঠিন জি আর ই ওয়ার্ড ব্যবহার করে ভালো ইংলিশ যানানোর ভাব দেখানো।
স্টেটমেন্ট অফ পারপাস প্রতিটি জায়গা যেখানে তুমি এপ্লাই করবে সে জায়গার জন্য কাস্টমাইজড হওয়া উচিত। কেনো ওই পার্টিকুলার প্রোগ্রাম এ তুমি এপ্লাই করেছো, এই প্রোগ্রামের কোন কোণ দিক তোমার কাছে আকর্ষনীয় মনে হয়েছে এবং তুমি এ পর্যন্ত যা করেছো , তা কিভাবে ওটার সাথে খাপ খেয়ে যাচ্ছে, তা তোমাকে বুঝাতে হবে – এটা তুমি যত ভালোভাবে এবং সহজবোধ্যভাবে বুঝাতে পারবে, তোমার সাকসেস রেট তত বেশি হবে। সিম্পল, এফিশিয়েন্ট এবং টু দি পয়েন্ট । ডু নট বেগ, প্রুভ বাই রাইটিং হোয়াই ইউ আর এ ডিজার্ভিং ক্যান্ডিডেট ফর দি পোস্ট। তোমার স্টেটমেন্ট অফ পারপাস তোমার জন্য কাস্টমাইজড হবে – এবং যাতে এডমিশন কমিটি বুঝতে পারে যে এটা একটা ইউনিক রাইটিং। মনে রাখবে, ইউনিকনেস ওয়ার্কস।
তোমার স্টেটমেন্ট অফ পারপাস লেখাটা তোমার জি আর ই রাইটিং প্র্যাকটিস করার একটা বেশ ভালো যায়গা হবে। প্রথম এক মাস একটা রাফ স্কেচ দাড় করায়ে ফেলাও। কিচ্ছু যায় আসে না প্রথম ড্রাফট কতটা বাজে দেখাচ্ছে। তোমার হাতে এখনো কয়েকমাস সময় আছে। প্রতিদিন কিছু এডিট করো ১০ মিনিট সময় দিয়ে। প্র্যাকটিস , হ্যাভ ফান। প্রতিদিন কিছু লাইন এডিট করো। একই লাইন বিভিন্নভাবে লিখো। স্টেটমেন্ট অফ পারপাস তোমার নিজেকে প্রকাশ করার সবচাইতে ভালো উপায় – মেক ইট এ ওয়ার্ক অফ আর্ট। দরকার হলে তোমার স্টেটমেন্ট অফ পারপাস এর ফাইনাল সাবমিশনের আগে ৫০ টা ড্রাফট হবে , হোক।
৬) ভালো এবং ডায়রেক্টেড রেকোমেন্ডেশন। বাংলাদেশের প্রফেসর দের কিছু সমস্যা আছে – তারা দায়সারা কথাবার্তা লিখে চালায়ে দিতে চান। কোনো প্রফেসর এর সাথে এখন থেকে ভালো একটা কাজের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেস্টা করো। রিসার্চ ওয়ার্ক করো , পেপার লেখার চেস্টা করো, এবং এ ধরনের টিচার দের কাছে থেকে ডাইরেক্টেড রেকোমেন্ডেশনের ব্যাবস্থা করো। ডাইরেক্টেড রেকোমেন্ডেশন মানে হলো সেই টিচার যে তোমাকে রেকোমেন্ড করবে, কি স্পেসিফিক কাজের জন্য সে করতেসে, কি কি কারনে, কি কি ঘটনার কারনে তার মনে হচ্ছে যে তুমি ওখানে ভালো করবে এইগুলা লেখা। রেকোমেন্ডেশন যতটা ক্রিটিকাল আর ডায়রেক্টেড হয় ততটা ভালো।
৭) আমরা মনে করি যে আগে গুস্টিশুদ্ধা প্রফেসর কে মেইল করবো, যে রিপ্লাই দেয় সেখানে সেখানেই এপ্লাই করবো – ভূল ধারনা। এডমিশন সিজনে প্রফেসরদের কাছে হাজার হাজার মেইল আসে। কাজেই তোমাকে আলাদা করে দেখার তাদের হাতে এতটা সময় নেই। যেটা করা উচিত, প্রথমে এডমিশনের জন্য এপ্লাই করে তারপর প্রফেসরদেরকে মেইল করা যে তুমি এডমিশনের জন্য এপ্লাই করেছো অলরেডি, তার সাথে কাজ করার ইচ্ছা, তিনি যাতে তোমার প্রোফাইল টা দেখেন। এটা করা যে দরকার এরকম না – এডমিশন কমিটি সব সময় এডমিশন ডেডলাইন শেষ হবার পরে সব এপ্লিকেশন নিয়ে সব ফ্যাকাল্টি নিয়ে একসাথে বসেন এবং এপ্লিকেশন গুলাকে এরিয়া অফ রিসার্চ ইন্টারেস্ট দিয়ে সাজান। তারপর রিসার্চ ইন্টারেস্ট এর সাথে যেসব প্রফেসর যায়, তাদের কাসে ওই রিসার্চ ইন্টারেস্টের আসা সব কয়টা এডমিশন প্যাকেট যায়। তারা দেখেন যে তাদের লাইনে আসতে চাওয়া স্টুডেন্ট গুলার প্রফাইল কেমন। তোমার প্রফেসর তোমাকে প্রথমে নাও সিলেক্ট করতে পারে, কিন্তু তোমার প্রোফাইলের কারনে তোমার প্রথম টার্মে টিচিং এসিস্টেন্টশিপ পাওয়ার তার পরেও সম্ভবনা থাকে- আর সেটা ডিপার্টমেন্ট ডিপেন্ডেন্ট। কাজেই তুমি যদি আসলে প্রফেসর এর সাথে নাও যোগাযোগ করো ইউ এস এ তে এপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে, খুব বেশি সমস্যা আসলে হবেনা। তবে এই ক্ষেত্রে তুমি যত শুরুতে এপ্লিকেশন করতে পারবে তত ভালো। তোমার এপ্লিকেশন সাইকেল এর শুরুর দিকে পড়া মানে তোমার কাছে ফান্ডের কনফার্মেশন দ্রুত আসার চান্স বেশি।
৮ ) বিশ্ববিদ্যলয় র‍্যাঙ্ক দেখে সিলেক্ট করার চাইতে ভালো হলো রিসার্চ গ্রুপের কাজ দেখে সিলেক্ট করা। সবচেয়ে ভালো এপ্রোচ হলো কনফারেন্স গুলো ঘাটা – তুমি কোন লাইনে ইন্টারেস্টেড, সেই লাইনের সেরা কনফারেন্স গুলো দেখো। সেখানে কি কি পেপার এসেছে সেগুলো দেখো। শুধু সেই বছরের না, গত ৪-৫ বছরে এই ধরনের কনফারেন্সে কে কারা কোথা থেকে পেপার সাবমিট করেছে দেখো। তাদের কাজের নমুনা ঘেটে দেখো যে তারা কোন রিসার্চ গ্রুপে কাজ করছে। সেই রিসার্চ গ্রুপ আর কোথায় কোথায় কি কি পাবলিকেশন করছে। মাস্টার্স অথবা পিএইচডি লাইনে ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকলিস্ট গুরুত্বপূর্ণ – কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রথম ১০ এর বাইরে আসলে যেকোনো ইউনিভার্সিটি প্রায় সমান গুরুত্ব বহন করবে (কথাটা কন্ট্রোভার্শিয়াল কিছুটা )। সেক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি সিলেকশন হওয়া উচিত স্ট্রং আর একটিভ রিসার্চ গ্রুপ দেখে। তোমার প্রফেসর যদি একটিভ হয়, ভালো ভালো যায়গাতে পাবলিকেশন করে রেগুলারলি, তার ফিল্ডে যদি তার নাম যথেস্ট পরিচিত হয়, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা মাথায় তার সাথে কাজ করার চেস্টা করো। কাজে দিবে। এই স্টেজে তোমার কাজ আসলে রিসার্চ করা এবং তোমার রিসার্চের রেজাল্ট তুমি যেখানে থেকে সবচাইতে ভালভাবে করতে পারবে সেখানেই তোমার যাওয়া উচিত।
৯) পুরা লেখার এই অংশটা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং অপ্রাসঙ্গিক, গায়ে লাগার মত এবং কন্ট্রোভার্শিয়াল হবে। আমাদের কিছু জাতিগত সমস্যা আছে। কেউ কিছুর চেস্টা করলে তাকে এনকারেজ করার চাইতে ডিসকারেজ করতে অনেক পছন্দ করি। কনস্ট্রাক্টিভ ক্রিটিসিজম করতে গিয়ে মাত্রা অতিক্রম করে ফেলাই। তুমি যেই হওনা কেনো, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়, শাহজালাল, আই ইউ টি, কুয়েট রুয়েট চুয়েট রাজশাহী চিটাগাং পটুয়াখালি এনএসইউ এ আইইউ বি অতীশ দিপঙ্কর – যেখানে থেকেই আসো না কেনো , তোমাকে আজকে একটা কথা বলি। তুমি ততটুকুই বড়ো যতটুকু বড়ো তোমার স্বপ্ন। এক বড়োভাই এর কথা শুনেছিলাম যিনি বুয়েট থেকে কোনো এক সাব্জেক্টে সবচেয়ে কম মার্ক পেয়েছিলেন পরে জেদ করে সেই সাবজেক্টে বিশ্বসেরা রিসার্চার দের একজন হয়ে দেখিয়েছেন। তুমি যেখানেই থাকো না কেনো, যে অবস্থাতেই থাকো না কেনো তুমি ঘুরে দাড়াতে এবং প্রচন্ড ভালো করতে সক্ষম – যেটা দরকার সেটা হলো আত্মবিশ্বাস আর জেদ। তুমি অতীশ দিপঙ্করে ( এইটা একটা নাম উদাহরন এর জন্য, ভাই প্লিজ – আমি এইখানের একজন ফ্যাকাল্টিরে চিনি যার এসিএম ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং যথেস্ট উপরে এবং মনে হয় এইখানে থেকে পাশ করসে, ইউনিভার্সিটির নাম ভূল হইতে পারে ) পড়ে এম আই টি এর স্বপ্ন দেখতে পারো। অবশ্যই পারো এবং অবশ্যই যেতে পারো – কারো এইটা বলার অধিকার নাই যে তুমি চেস্টা করতে পারবে না। চেস্টা করে হেরে যাওয়া না চেস্টা করে হার মানা থেকে অনেক ভালো। তোমার সিজি বুয়েটে ৩ দশমিক ৫ হতে পারে এবং তার পরেও তুমি স্ট্যানফোর্ডে এপ্লাই করার অধিকার এবং ঢোকার অধিকার তোমার আছে – এবং এইটা কারো বলার অধিকার নাই যে তুমি পারবানা। যখন ই তুমি আসলে ভালো কোথাও চেস্টা করবে – কিছু মানুষ তুমি অবশ্যই পাবে যে তোমাকে হতোদ্যম করার চেস্টা করবে। ডোন্ট ওয়ারি। পাইলে বুঝবা যে ঠিক পথে আগাচ্ছো। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে যে যারা যেটা করতে পারেনা যখন দেখে অন্য কেউ সেটা চেস্টা করছে তারা সেটাকে থামানোর চেস্টা করবে – নিজেদের স্ট্যাটাস কুয়ো বজায় রাখার জন্য। এটা ঠিক যে বাইরের ভার্সিটিতে যাওয়া পৃথিবীতে সবকিছু না – তুমি চাইলে দেশে থাকলেও অনেক ভালো কিছু করতে পারবে। আর তুমি যদি ভালো কিছু করতে চাও তাহলে ঠিক এই লোকগুলাই তোমাকে ক্রিটিসিজম করতে যাবে এবং হতোদ্যম করতে যাবে। নিজের উপরে বিশ্বাস রাখো। পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষ তোমার ভাত জোগায় না – তারা তোমাকে একটা মুভি হিসাবে দেখবে। আজকে যারা তোমাকে উপহাস করছে কালকে তারাই তোমার পিছনে ছুটবে যখন তুমি ভালো কিছু করতে পারবে। নিজের স্বপ্নগুলাকে বড়ো করো, এম্বিশাস হও, প্ল্যানার হও , ঠান্ডামাথায় বড়ো ডিসিশন নিতে শিখো এবং সবচাইতে বড়ো কথা, পুরাপুরি একা সবকিছু করার সাহস রাখো। বড়ো কিছু এচিভ করতে চাইলে এম্বিশন কে ওই পরিমান বড়ো করতে হয়।

You may also like