জামায়াতে উপস্থিতির ক্ষেত্রে বিলম্ব ও ব্যতিক্রমের অবকাশ
মোহাম্মদ আবুল হোসাইন চৌধুরী
১.উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : খাবার উপস্থিত করা হলে এবং পায়খানা প্র¯্রাবের বেগ সৃষ্টি হলে-এগুলো সেরে নেয়ার আগ পর্যন্ত নামাযে যাবে না। (সহীহ মুসলিম)
২.আব্দুল্লাহ ইবনে আরকাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : যখন নামাযের ইকামত বলা হয়, তখন যদি তোমাদের কেউ পায়খানা-প্র¯্রাবের বেগ অনুভব করে, তাহলে সে যেনো আগে পায়খানা প্র¯্রাব সেরে নেয়। ( জামে আত-তিরমিযী, আবু দাউদ, আন- নাসায়ী ও মুআত্তায়ে মালিক)
৩.আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যদি তোমাদের কারো রাতের খাবার উপস্থিত করা হয়, আর তখন নামাযের ইকামত দেয়া হয়, তবে তাড়াহুড়া না করে প্রথমে প্রশান্তির সাথে খেয়ে নেবে (তারপর নামাযে যাবে)। (সহীহ আল বোখারী ও সহীহ মুসলিম)
৪.জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা খাওয়া বা অন্য কোনো কিছুর জন্য নামায (অর্থাৎ নামাযের জামায়াত) পিছিয়ে দিওনা। (শারহে সুন্নাহ)
৫.আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : প্রবল শীত ও বৃষ্টির রাতে তোমাদের কেউ যদি আযান দেয়, তখন সে যেনো একথাও বলে দেয়: আপনার নিজ নিজ আবাসে নামায পড়–ন। (সহীহ আল বোখারী ও সহীহ মুসলিম)
এই হাদীসগুলো থেকে জানা গেলো :
১. খাবার সামনে এলে নামাযের ইকামত দিলেও খেয়ে নামাযে যাওয়া উচিত।
২. পায়খানা পশ্রাবের চাপলে নামায শুরু হলেও এগুলো আগে সেরে নিতে হবে।
৩. জামায়াতের সময় নির্ধারিত থাকলে খাওয়া বা অন্য কারণে জামায়াত পিছানো ঠিক নয়।
৪. প্রচ- শীত বৃষ্টি ও ঝড় তুফানের রাত্রের ঘরে নামায পড়ার অবকাশ আছে।
৫. রোগ ও শত্রুর ভয় থাকলে ঘরে নামায পড়ার অবকাশ আছে।