Home ইসলাম কোরআন মাজিদ ভুলে গেলে যে ক্ষতি

কোরআন মাজিদ ভুলে গেলে যে ক্ষতি

by admin
0 comment

১.আবু মুসা আশারী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘এই কুরআনের প্রতি যতœ নাও। (অর্থাৎ, নিয়মিত পড়তে থাকো ও তার চর্চা রাখো।) সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবন, উট যেমন তার রশি থেকে অতর্কিতে বের হয়ে যায়, তার চেয়ে অধিক অতর্কিতে কুরআন (স্মৃতি থেকে) বের হয়ে (বিস্মৃতি হয়ে) যায়।” (অর্থাৎ অতি শীঘ্র ভুলে যাবার সম্ভাবনা থাকে।) (সহীহ মুসলিম)

২.হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কুরআন–ওয়ালা হল বাঁধা উট–ওয়ালার মত। সে যদি তা বাঁধার পর তার যথারীতি দেখাশুনা করে, তাহলে বাঁধাই থাকবে। নচেৎ ঢিল দিলেই উট পালিয়ে যাবে।” (সহীহ আল বুখারি)

৩. হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–কে এ কথা বলতে শুনেছি যে,“মহান আল্লাহ এভাবে উৎকর্ণ হয়ে কোন কথা শুনেন না, যেভাবে সেই মধুরকণ্ঠী পয়গাম্বারের প্রতি উৎকর্ন হয়ে শুনেন, যিনি মধুর কণ্ঠে উচ্চ স্বরে কুরআন মাজীদ পড়তেন।” (সহীহ আল বুখারি) আল্লাহর উৎকর্ন হয়ে শুনার মধ্যে এ কথার ইঈিত রয়েছে যে, তিনি সেই তেলাওয়াতে সন্তুষ্ট হন এবং তা কবুল করেন।

৪. হযরত আবু মুসা আশারী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘‘তোমাদের দাউদের সুললিত কণ্ঠের মত মধুর কণ্ঠ দান করা হয়েছে।” (সহীহ আল বুখারী)।

৫. মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে যে, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, “যদি তুমি আমাকে গত রাতে তোমার তেলাওয়াত শোনা অবস্থায় দেখতে (তাহলে তুমি কতই না খুশী হতে)!”

৬. হযরত বারা’ ইবনে আযব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘আমি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এশার নামাযে সূরা ‘অততীন অযযাইতুন’ পড়তে শুনেছি। বস্তুতঃ আমি তার চেয়ে মধুর কণ্ঠ আর কারো শুনিনি।” (সহীহ আল বুখারী,সহীহ মুসলিম)

৭. হযরত আবু লুবাবাহ বাশীর ইবনে আব্দুল মুনযির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘‘যে ব্যক্তি মিষ্ট স্বরে কুরআন পড়ে না, সে আমাদের মধ্যে নয়।” (অর্থাৎ আমাদের তরীকা ও নীতি–আদর্শ বহিভূত)। (আবু দাউদ)

৮. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসাউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘(হে ইবনে মাসাউদ) আমাকে কুরআন পড়ে শুনাও।” আমি বললাম ‘হে আল্লাহর রসূল! আমি আপনাকে পড়ে শুনাব, অথচ আপনার উপরে তা অবতীর্ণ করা হয়েছে? তিনি বললেন, “অপরের মুখ থেকে (কুরাআন পড়া) শুনতে আমি ভালবাসি”। সুতরাং তার সামনে আমি সূরা নিসা পড়তে লাগলাম, পড়তে পড়তে যখন এই (৪১নং) আলতে পৌছালাম…যার অর্থ, “তখন তাদের কি আবস্থা হবে, যখন প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকেও তাদের সাক্ষী রূপে উপস্থিত করব?” তখন তিনি বললেন “যথেষ্ট, এখন থাম”। অতঃপর আমি তার দিকে ফিরে দেখি,তার নয়ন যুগল অশ্রু ঝরাচ্ছে। (সহীহ আল বুখারী)

You may also like